আলিপুরদুয়ার ও বীরভূম। মানচিত্রে দু’টি পৃথক জায়গা হলেও শুক্রবার এই দুইকে মিলিয়ে দিল একটি ঘটনা। পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বাংলার দুই বীরপুত্রের শেষকৃত্য।

কলকাতা : আলিপুরদুয়ার ও বীরভূম। মানচিত্রে দু’টি পৃথক জায়গা হলেও শুক্রবার এই দুইকে মিলিয়ে দিল একটি ঘটনা।

সোমবার লাদাখ সীমান্তে চিন সেনার বর্বরোচিত হামলায় শহিদ ২০জন জওয়ানদের মধ্যে এই বাংলা দুই বীরপুত্র রয়েছেন। একজন বীরভূমের মহম্মদবাজারের বাসিন্দা রাজেশ। অন্যজন আলিপুরদুয়ারের বিন্দিপাড়ার বাসিন্দা বিপুল রায়। গত কয়েকদিন ধরে এই দুই গ্রাম ছিল শোকে মূহ্যমান। আর দুই জওয়ানের কফিনবন্দি দেহ গ্রামের বাড়িতে ঢুকলে গোটা গ্রাম কান্নায় ভেঙে পড়ে। দুই গ্রামের অগনতি মানুষ রাত জেগে কাটিয়েছেন । বৃহস্পতিবার বিপুল রায়ের নিথর দেহ পৌঁছয় আলিপুরদুয়ারের হাসিমারা বায়ুসেনা ছাউনিতে । সেখান থেকে সকালে সড়কপথে বিন্দিপাড়া গ্রামে পৌঁছয়। শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বিন্দিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে তৈরি করা হয় অস্থায়ী মঞ্চ। গ্রামের মানুষ যেন বিশ্বাস করতে পারছে না, বিপুল রায় নেই। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ১০টি তোপধ্বনি দিয়ে রাজেশকে শেষ সম্মান জানানো হয়। 


অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার রাতেই পানাগড় সেনাছাউনিতে নিয়ে আসা হয় রাজেশ ওরাংয়ের দেহ। সেখানেই এই শহিদকে গান স্যালুট জানান সেনাবাহিনীর জওয়ানরা। আজ ভোরে পানাগড় থেকে রাজেশ ওরাংয়ের দেহ নিয়ে মহম্মদবাজারের দিকে রওনা হয় সেনাবাহিনী। দুবরাজপুর-সিউড়ি হয়ে সেনাবাহিনীর কনভয় ঢোকে মহম্মদবাজারের বেলগড়িয়া গ্রামে। গোটা রাস্তায় অসংখ্য মানুষ পথের ধারে জমা হয়েছিলেন রাজেশকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে। এর পর সেনাবাহিনী গার্ড অফ অনার দেয়। শেষকৃত্যে ছিলেন দুই মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দ্রনাথ সিনহা, জেলার চার বিধায়ক, তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল, কংগ্রেসের অধীর চৌধুরি, আবদুল মান্নান, সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী, বিজেপির দুই সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, সৌমিত্র খাঁ।

Comments

Popular posts from this blog

বিষাক্ত শুঁয়োপোকা

দারুণ সুখবর ফ্রেশারদের জন্য ! প্রচুর পদে নিয়োগ ! জেনে নিন বিস্তারিত