Student Credit Card: চালু হয়ে গেল স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, কোন ছাত্র টাকা পেতে পারেন? কি কি শর্ত থাকবে।


 

কলকাতা: রাজ্যে চালু হয়ে গেল নয়া ছাত্রঋণ ব্যবস্থা। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড (Student Credit Card) নামের একটি কার্ড চালু করলেন মুখ্যমন্ত্রী। দশম শ্রেণি থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত ছাত্ররা যে কোনও সময় পড়াশোনা সংক্রান্ত প্রয়োজনে এই ঋণ ব্যবহার করতে পারেন।  কোন শর্তে ক্রেডিট কার্ড পাওয়া যাবে, কারা যোগ্য ছাত্র ক্রেডিট কার্ডের জন্য, এই বিষয়ে বিস্তারিত জানুন।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবারই এই ছাত্র ক্রেডিট কার্ড আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করার সময় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন স্নাতক ও স্নাতকোত্তর এমনকি ডাক্তারি, আইএএস, আইপিএস, ডব্লিউবিসিএস, কোনও ডিপ্লোমায় পড়ার জন্য ছাত্ররা যে কোনও সময় এই ঋণ পেতে পারেন ছাত্রছাত্রী। এ ছাড়া ব্যাংক, রেলওয়ে, স্টাফ সিলেকশন কমিশন বা অন্য কোনও পেশাদার পাঠ্যক্রম এর জন্যেও ছাত্ররা কোনও বৈধ প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করলেই এই ঋণ পেতে পারেন। ছাত্র ঋণে সর্বোচ্চ দশ লক্ষ টাকা পর্যন্ত নেওয়া যাবে।

আবেদনকারীর বয়স হতে হবে ৪০ বছরের মধ্যে। ঋণের মেয়াদ থাকবে ১৫ বছর পর্যন্ত। কোর্স চলাকালীন যে কোনো সময়ে এই কার্ডের জন্য আবেদন করা যাবে। আবেদন করার জন্য যে পোর্টাল ব্যবহার করতে হবে তা হল -www.wb.gov.in, Toll free number 18001028014.

ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার জন্য আবেদনকারী সেল্ফ ডিক্লারেশন দিলেই হবে। তবে শর্তানুযায়ী তাঁকে অন্তত দশ বছর পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে। লোনের ক্ষেত্রে গ্যারান্টার স্বয়ং সরকার। এই কারণেই ঋণ দানের ক্ষেত্রে ছাত্র ছাত্রীর পরিবারের সম্পত্তির পরিমাণ কত, সিকিউরিটি আছে কিনা, অভিভাবক আদৌ টাকা পয়সা শোধ করতে সক্ষম কিনা এ ব্যাপারে কোনও অতিরিক্ত পদক্ষেপ নিতে পারবে না ব্যাঙ্ক, ছাত্র ঋণ নেওয়ার বৈধ কারণ দেখালেই ঋণ পাবেন। যে কোনও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক, বেসরকারি ব্যাঙ্ক এবং কিছু আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাঙ্ক এই ক্রেডিট কার্ড দেবে।

ণ পরিশোধের ক্ষেত্রে অভিভাবক চাইলে ঋণের ঋণের কিস্তি শোধ করতে পারেন আগেভাগেই। সময়ের আগে কিস্তি মিটিয়ে দেওয়ার জন্য আলাদা করে কোনও পেনাল্টি বা প্রসেসিং চার্জ দিতে হবে না। একজন ছাত্র ঋণ শোধ করার জন্য মোট সময় পাবেন ১৫ বছর।

এই ঋণের ক্ষেত্রে সুদের হার হবে ৪ শতাংশ। সরল সুদের হারে ঋণ শোধ করতে হবে। অর্থাৎ ধাপে ধাপে সুদের হার বাড়বে এমনটা নয়, গোটা পর্ব জুড়েই সুদ থাকবে নির্দিষ্ট।

এই ঋণের মধ্যেই ছাত্রকে একটি জীবন বিমা করিয়ে দেওয়া হবে। সেই বিমার প্রিমিয়াম শিক্ষার্থীকে দিতে হবে লোনের পরিমাণ থেকেই।  বিমার টাকা কেটে নেওয়া হবে।

ঋণের অর্থে ছাত্রছাত্রীরা যে কোনও  শিক্ষা সরঞ্জাম কিনতে পারেন। শিক্ষা পরিবহণ খাতে অর্থ ব্যবহার করতে পারেন কোনও ছাত্রাবাসে থাকলে সেই অর্থও ঋণের টাকায় দিতে পারেন। যে প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী যুক্ত সেই প্রতিষ্ঠান হিসেবের বাইরে অর্থ খরচ করার এক্তিয়ার রয়েছে মাত্র ৩০ শতাংশ।

Comments

Popular posts from this blog

বিষাক্ত শুঁয়োপোকা

দারুণ সুখবর ফ্রেশারদের জন্য ! প্রচুর পদে নিয়োগ ! জেনে নিন বিস্তারিত