Posts

Showing posts with the label বিজ্ঞান

List of important Antibiotics & their Source | গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিবায়োটিকের তালিকা এবং তাদের উৎস

Image
একটি অ্যান্টিবায়োটিক হল একটি নির্দিষ্ট শ্রেণীর অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এজেন্ট যা ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে। ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের চিকিত্সা এবং প্রতিরোধে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের ব্যবহার সাধারণ কারণ তারা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এজেন্টের সবচেয়ে কার্যকর রূপ। ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি রোধ বা তাদের দ্বারা নিহত হতে পারে. 20 শতকের গোড়ার দিকে, ঐতিহ্যগত ওষুধগুলি বেশিরভাগ সংক্রমণ নিরাময়ের জন্য ব্যবহৃত হত। প্রায় 2,000 বছর আগে, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যযুক্ত মিশ্রণগুলি যেগুলি অসুস্থতার চিকিত্সার জন্য ব্যবহৃত হত তা নথিভুক্ত করা হয়েছিল। প্রাচীন মিশরীয় এবং প্রাচীন গ্রীক সহ অনেক প্রাচীন সমাজ দ্বারা সাবধানে নির্বাচিত ছাঁচ এবং উদ্ভিদ উপাদান ব্যবহার করে সংক্রমণের চিকিত্সা করা হয়েছিল। 1990-এর দশকের গবেষণায় নুবিয়ান মমিগুলিতে টেট্রাসাইক্লিন প্রচুর পরিমাণে উপস্থিত ছিল। ধারণা করা হয়েছিল যে উৎসটি সেই সময়ে তৈরি করা বিয়ার ছিল। রঞ্জক পদার্থ থেকে তৈরি কৃত্রিম অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কৃত হলে আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান তাদের ব্যবহার শুরু করে। অ্যান্টিবায়োটিকের উৎসের নাম পেনিসিলিন পেনিসিলিয়াম ক্রাইসোজেনাম, প

‌সূর্যগ্রহণের তথ্য পেয়ে উচ্ছ্বসিত বিজ্ঞানীরা, রেডিও অ্যান্টেনা’‌–তে ধরা দিল অনেক অজানা তথ্য।

Image
রবিবার সকাল থেকেই ইন্ডিয়ান সেন্টার ফর স্পেস ফিজিক্স সেন্টারে ছিল ব্যস্ততা। গ্রহণ সংক্রান্ত নানা তথ্য সংগ্রহ করতে স্পেস ফিজিক্স সেন্টারের ছাদে বসানো হয়েছিল রেডিও অ্যান্টেনা। আশঙ্কা‌ ‌বাড়িয়েছিল মেঘ, কিন্তু আবহাওয়া খারাপ থাকলেও নিখুঁত তথ্য পাওয়া গিয়েছে। রেডিও অ্যান্টেনার মাধ্যমে পাওয়া এই তথ্য গবেষণায় গতি আনতে পারে, আশাবাদী বিজ্ঞানীরা। ভরা বৃষ্টির মরসুম। তারমধ্যে সূর্য গ্রহণের ছবি কী পরিস্কার হবে? আশঙ্কা একটা ছিলই। কিন্তু যে ছবি পাওয়া গেছে তাতে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত ইন্ডিয়ান সেন্টার ফর স্পেস ফিজিক্সের বিজ্ঞানীরা। সেন্টারের মুকুন্দপুর বাইপাস ক্যাম্পাসের অধিকর্তা সন্দীপ চক্রবর্তী বলেন, ‘‌সূর্যগ্রহণকে চাক্ষুষ করার পাশাপাশি রেডিও অ্যান্টেনার মাধ্যমেও আমরা যে তথ্য পেয়েছি তাতে গবেষণার ক্ষেত্রে অনেকটা সুবিধে হবে। আমাদের হাতে সূর্যগ্রহণের যে ছবি এবং তথ্য এসেছে তা এককথায় অভূতপূর্ব’‌। ছবিটা নেহাতই সাদামাটা একটা গ্রাফ। রেডিও অ্যান্টেনার মাধ্যমে পাওয়া গ্রাফ। এই গ্রাফ থেকেই মহাকাশ বিজ্ঞানীদের হাতে এল অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। কীভাবে কাজ করে রেডিও অ্যান্টেনা?  মহাকাশ বিজ্ঞানীদের কথায

বিজ্ঞানীদের মতে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই পৃথিবী শেষ হয়ে যাবে। এই অদ্ভুত ধারণাটি একটি প্রাচীন ক্যালেন্ডার মায়ার ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।

Image
২০২০ সালটি শুরু থেকেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। এখন একটি তত্ত্ব দাবি করছে, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই পৃথিবী শেষ হয়ে যাবে। এই অদ্ভুত ধারণাটি একটি প্রাচীন ক্যালেন্ডার মায়ার ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। তবে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার সারা বিশ্বে ব্যবহৃত হয়। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারটি ১৫৮২ সালে প্রথম অস্তিত্ব নিয়ে আসে। আগে বিভিন্ন ধরনের ক্যালেন্ডার ব্যবহৃত হতো। এই তালিকায় মায়া ক্যালেন্ডার এবং জুলিয়ান ক্যালেন্ডারও রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে, গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার সূর্যের চারদিকে পৃথিবীর ঘোরার সময়কে আরো ভালোভাবে প্রতিফলিত করে। জুলিয়ান ক্যালেন্ডার এই কক্ষপথটি সঠিকভাবে প্রতিফলিত করে না, তাই প্রতি বছর ১১ দিন কমতে থাকে। ষড়যন্ত্র তত্ত্ব অনুসারে, আমরা যদি প্রতি বছর এই ১১ দিন হ্রাসের গণনা করি তবে বাস্তবে আমাদের ২০২০ নয়, ২০১২ সাল হওয়া উচিত। ২০১২ সাল শুরুর আগে অনেক বিশেষজ্ঞ বিশ্বের সমাপ্তির পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। সম্প্রতি বিজ্ঞানী পাওলো তাগালগায়ুনও এটি সম্পর্কে টুইট করেছেন, যা মুছে ফেলা হয়েছে। এই টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, জুলিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে বিশ্ব প্রযুক্তি

তথ্যের আলোকে নভেল করোনা ভাইরাস ও COVID-১৯

Image
করোনা ভাইরাস নিয়ে আপনার মনে অনেক ধন্দ রয়েছে? দেখুন তো, এখানে তার কিছু সুরাহা হয় কিনা। করোনা ভাইরাস কি? গঠনগতভাবে করোনা ভাইরাস একটা বিশাল আরএনএ (RNA) ভাইরাসের পরিবার। “করোনা” শব্দটার আক্ষরিক অর্থ হলো মুকুট। ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপের তলায় এই পরিবারের ভাইরাসকে অনেকটা রাজার মাথার মুকুটের মতন দেখায়, সেই থেকে এই নামকরণ (ছবি ১ দেখুন)। অন্যসকল ভাইরাসের মতো এরাও জীবনধারণ ও বংশবৃদ্ধির জন্য কোন না কোন একটা প্রাণী বা উদ্ভিদ কোষের উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকে। এই ভাইরাসের সবচেয়ে বাইরের অংশে থাকে গ্লাইকোপ্রোটিনের স্পাইক বা কাঁটা যেগুলোর সাহায্যে ভাইরাসটা জীবন্ত কোষে আটকে গিয়ে সংক্রামিত হয়। দ্বিতীয় উপাদানটা হলো রাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড বা আরএনএ (RNA)। জীবন্ত কোষের ভিতরে প্রবেশ করে ভাইরাসটা  আরএনএ-র প্রতিলিপি তৈরি করে বংশ বিস্তার করে। আর তৃতীয় উপাদানটা হ’ল একটা লিপিড স্তর, এটা ভাইরাসের অন্যান্য অংশকে ধরে রাখে। করোনাভাইরাস-এর মারাত্মক প্রকোপ এবং এবং তাকে কিকরে ঠেকিয়ে রাখা যায়, সেটা বুঝতে হলে এই তিনটে অংশের কথাই আমাদের মাথায় রাখতে হবে। ছবি ১ –  করোনা ভাইরাস-এর গঠন ( ছবির সূত্র

আচ্ছা, আমি যদি দেয়ালে নিজের সর্বোচ্চ বল দিয়ে ঘুঁষি দেই, তাহলে দেয়ালও নিশ্চয় সেই পরিমাণ বল আমার দিকে প্রয়োগ করবে? তো, দেয়াল যদি একই পরিমাণ বল বিপরীত দিক থেকে আমার উপর প্রয়োগ করতো, তাহলে তো আমার গতিশীল হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কারণ,বলের কারণেই তো কোনো বস্তু গতিশীল হয়। কিন্তু, বাস্তবে তো আমি গতিশীল হইনি। এর কারণ কী?

Image
গতিশীল না হলেও দেয়ালে ঘুঁষি মারলে বল নিশ্চয় অনুভব করেছো হাতের ওপর। যত শক্ত হবে দেয়াল, তত বেশি বল অনুভব করবে। গতিশীল হবে কিনা, সেটা নির্ণয় করতে হলে শুধু একটা বলের কথা ভাবলেই চলবে না। হ্যাঁ, দেয়াল উল্টো দিকে ধাক্কা দিচ্ছে, কিন্তু সেটাই কি একমাত্র বল তোমার ওপর? তুমি যে মেঝেতে দাঁড়িয়ে আছো, সেটা কিন্তু বিপরীত দিকে বলপ্রয়োগ করছে তোমার ওপর। কয়েকটা উদাহরণ দেওয়া যাক। [১] ঘুঁষি মারার পরিবর্তে তুমি দেয়ালে যদি কিছু ছুঁড়ে মারো, যেমন একটা ক্রিকেট বল, তাহলে সেটা ফেরত আসে তো? ওই ক্রিকেট বলটাকে ফেরত পাঠায় দেয়ালের প্রতিক্রিয়া। এক্ষেত্রে দেয়ালের প্রতিক্রিয়াকে বাধা দেওয়ার কেউ নেই। হাওয়ার প্রতিরোধ কিছুটা থাকলেও সেটা নগণ্য। অতএব ক্রিকেট বল সুরসুর করে ফিরে আসে। [২] তুমি নিজে মেঝের উপর দাঁড়িয়ে দেওয়ালে ঘুসি না মেরে একটা চাকা লাগানো চেয়ারে বোসো।  আর একজনকে বলো সেই চেয়ারটাকে সর্বোচ্চ বল দিয়ে দেওয়ালের দিকে ঠেলতে যতক্ষণ না চেয়ারটা দেওয়ালে ধাক্কা মারছে। ভীতিজনক পরিস্থিতি বৈকি! ধাক্কা মারার ঠিক আগের মুহূর্তে যদি অন্যজন চেয়ার থেকে হাত তুলে নেয়, তাহলে কি দেখবে? চেয়ারের গতিবেগ