গ্রেফতার রাজ্যের প্রথম মহিলা জঙ্গি! হানি ট্র্যাপ'-এ সেনার তথ্য পাচারে ধরা পড়ল বাদুড়িয়া থেকে

রাজ্যে জঙ্গি নিয়োগের গুরুদায়িত্বের অনেকটাই ছিল এই তরুণীর উপরই। অনেকদিন ধরেই তাঁকে 'ট্র্যাক' করছিলেন গোয়েন্দারা। অবশেষে বাদুড়িয়া থেকে মিলল সাফল্য। তানিয়াকে ১০ দিনের এনআইএ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

হাইলাইটস

  • কলকাতার এক বিশ্ববিদ্যালয়ে আরবি নিয়ে এমএ পড়ছিল সে।
  • রাজ্য পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের হাতে গ্রেফতার হল রাজ্যের প্রথম মহিলা লস্কর জঙ্গি!
  • গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিম ভারতের এক সেনা জওয়ানের সঙ্গে ইতোমধ্যে তানিয়ার ঘনিষ্ঠ চ্যাট ডিটেইল হাতে এসেছে তদন্তকারীদের।

বহুদিন ধরেই তাঁর খোঁজে ছিলেন গোয়েন্দারা। অনেকবার সূত্র মারফৎ খবর পেয়েও তাঁকে ঠিক পাকরাও করা যায়নি। অথচ বহাল তবিয়তেই সে কলকাতার এক বিশ্ববিদ্যালয়ে আরবি নিয়ে এমএ পড়ছিল। অবশেষে রাজ্য পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের হাতে গ্রেফতার হল রাজ্যের প্রথম মহিলা লস্কর জঙ্গি!

পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁর নাম তানিয়া পারভিন। লস্কর-ই-তৈবার মতো জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত রয়েছেন তানিয়া, এমনটা বিশ্বাস করতে পারছেন না বাদুড়িয়ার মানুষজন। কারণে উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়া থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরপর আদালতে তোলা হলে তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় এনআইএ। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে তানিয়াকে ১০ দিনের এনআইএ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

তানিয়া পারভিনের বিরুদ্ধে রয়েছে একের পর এক অভিযোগ! পুলিশ সূত্রে খবর, হানি ট্র্যাপ করে সেনাবাহিনীর জওয়ানদের ফাঁসিয়ে গোপন তথ্য সংগ্রহ করত সে। সেই তথ্য পাচার করে দিত 'নির্দিষ্ট' জায়গায়। শুধু তাই নয়, রাজ্যে জঙ্গি নিয়োগের গুরুদায়িত্বের অনেকটাই ছিল এই তরুণীর উপরই। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরেই লস্কর-ই-তৈবার সঙ্গে যুক্ত ছিল সে। অনেকদিন ধরেই তাঁকে 'ট্র্যাক' করছিলেন গোয়েন্দারা। অবশেষে বাদুড়িয়া থেকে মিলল সাফল্য।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিম ভারতের এক সেনা জওয়ানের সঙ্গে ইতোমধ্যে তানিয়ার ঘনিষ্ঠ চ্যাট ডিটেইল হাতে এসেছে তদন্তকারীদের। সেখানে সেনাবাহিনীর কিছু গোপন তথ্যও রয়েছে। কলকাতার কলেজ ছাত্রী হওয়ার অনেকদিন ধরেই পুলিশের চোখে ধুলো দিচ্ছিল সে। কিন্তু শেষমেশ ধরা পড়ল পুলিশের জালে।

বেশ কয়েকদিন ধরেই রাজ্যের একাধিক জায়গা থেকে ধরা পড়ছে বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্তরা। গত ২৯ মে বাংলাদেশি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদিনের এক শীর্ষ নেতাকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স। এরপর গত ৮ জুন সেই সংগঠনেরই শীর্ষনেতা শেখ রেজাউল ওরফে কিরণকে ডানকুনি থেকে গ্রেফতার করে এসটিএফ।
রেজাউল জামাত-উল-মুজাহিদিনের প্রধান সালাউদ্দিনের একদম 'কাছের লোক'। জেএমবি-র ধুলিয়ান মডিউল ভেঙে গিয়েছে। তারপর থেকেই এপার বাংলায় নতুন মডিউল গড়ার চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। সেই সূত্রেই ডানকুনি ও আশপাশের অঞ্চল থেকে যুবকদের খোঁজা হচ্ছিল। কিন্তু পুলিশি তৎপরতায় সোমবার ভোরে ডানকুনির একটি বাড়িতে হানা দিয়ে গ্রেফতার করা হয় রেজাউলকে।

Comments

Popular posts from this blog

Microsoft Excel best shortcuts

বিষাক্ত শুঁয়োপোকা